টেকনাফের জালিয়ারদ্বীপে ‘‘নাফ ট্যুরিজম পার্ক’’ স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর অনুকূলে ২৭১.৯৩ একর খাসজমি দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যটকদের নিকট আকর্ষনীয়ভাবে গড়ে তোলার জন্য বন বিভাগের ২১.১২ একর
ও জালিয়ার দ্বীপের ২৭১.৯৩ একরসহ সর্বমোট ২৯৩.০৫ একর জমি জার্মান ভিত্তিক একটি কোম্পানীর মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই (Feasibility Study)সম্পন্ন হয়েছে।
উক্ত ট্যুরিজম পার্কটি বিদেশি পর্যটকদের নিকট আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য কেবল কার, প্যারা সেইলিং, স্কুবা ডাইভিং, সি-ক্রুসিং সহ অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন কার্যক্রম খুব দ্রুত শুরু হবে । ইতোমধ্যে বেজা কর্তৃক মাটি ভরাটসহ অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের নিকট টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি আহবান করা হয়েছে। সাবরাং ও জালিয়ারদ্বীপ ট্যুরিজম পার্ক এলাকায় সুপেয় পানির অনুসন্ধানে ৮টি পরীক্ষামূলক নলকূপ স্থাপন করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। ‘বেজা’ এর চাহিদা অনুযায়ী মার্চ’১৭ এর মধ্যে নাফ নদী ক্রসিং করে ২ মেঃওঃ লোড সরবরাহের জন্য ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল লাইন নির্মানের ড্রইং, ডিজাইন ও বিওকিউ বাপবিবো বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
এক নজরে নাফ ট্যুরিজম পার্ক
প্রকল্পের নাম: নাফ ট্যুরিজম পার্ক উন্নয়ন
(ক্যাবেল কার ,ভূমি উন্নয়ন, জেটি, বাঁধ ও ঝুলন্ত ব্রীজ নির্মাণ)
মন্ত্রণালয়ের নাম: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
বাস্তাবয়নকারী সংস্থা: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ(বেজা)।
পার্কের অবস্থান: নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশে টেকনাফ উপজেলার জালিয়ারদ্বীপ নামক স্থানে অবস্থিত
অর্থের উৎস: জিওবি/উন্নয়ন সহযোগী ।
প্রাক্কলিত ব্যয়: Boot ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বিধায় সরকারের কোন আর্থিক
সংশ্লিষ্টতা নেই।
প্রকল্পের মেয়াদ: ২০১৭-২০১৯
উন্নয়ন ব্যয়: ১৭০ কোটি টাকা
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস