তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার, কুরিয়ান টেলিকম ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড-মহেশখালি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুরিয়ান টেলিকম, আইওম এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমযোতা স্বারক সম্পন্ন হয়। কুরিয়ান টেলিকম ইতোমধ্যে কুরিয়ার গিগা আইল্যান্ডে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ডিজিটাল আইল্যান্ড-মহেশখালি প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুন মাসে শেষ হবার কথা রয়েছে এবং এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে মহেশখালি উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন যথা মহেশখালি পৌরসভা, বড় মহেশখালি ও ছোট মহেশখালির ২৫টি সরকারি অফিসকে হাই-স্পিড অনলাইন নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও ই-কমার্স এই ৪টি সেক্টরের সকল সেবা ঘরে বসে পাওয়া সম্ভব হবে। প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের মধ্যমে পাঠদান, দূর শিক্ষা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে টেলি-মেডিসিন, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইজের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারের জন্য ই-কমার্স প্লাটফরম স্থাপন করা হয়েছে। এতে প্রায় মহেশখালি উপজেলার ৩০% জনগণ ডিজিটাল আইল্যান্ডের সুবিধা পাচ্ছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ২৭ এপ্রিল, ২০১৭ খ্রি. তারিখে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড-মহেশখালি’ প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস