খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় জিটিসিএল কোম্পানী কর্তৃকবাস্তবায়িতব্যমহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সংঞ্চালন পাইপ লাইন বাস্তবায়িতহচ্ছে। মহেশখালী উপজেলায় ৩১ কি:মি: ও পেকুয়া উপজেলায় ১৪ কি:মি: মোট ৪৫ কি:মি: গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণের জন্য ৮৫.৬৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ এবং ১৪৯.৭৫ একর ভূমি হুকুম দখল করা হয়েছে।
বিগত ১৬/০২/২০১৬ ও ২৫/০৪/২০১৬ খ্রি. তারিখ প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে দখল হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পাইপ লাইন স্থাপনের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কক্সবাজার জেলাধীন ৪৫ কিঃমিঃ পাইপলাইন নির্মাণ কাজ ফেব্রুয়ারী’১৬ মাসে শুরু হয়ে নভেম্বর’১৬ মাসে সমাপ্ত হয়। কক্সবাজার জেলাধীন ৩টি নদী (কোহেলিয়া, উজানটিয়া ও মাতামুহুরী) এর ক্রসিং কাজ নভেম্বর’১৬ মাসে সুসম্পন্ন হয়।প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে অধিগ্রহণকৃত ভূমির মালিকদের মধ্যে ৮০% ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থপ্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার উত্তরে এবং ঘটিভাঙ্গা মৌজার ৩নং সীটের পশ্চিমে (প্রস্তাবিত চর মকবুল মৌজার) বিএস ২০০১ নং দাগ সংলগ্ন জরিপ বিহিন চরভরাট জমি চর্চা ম্যাপের মাধ্যমে চিহ্নিত ২০০১/২ দাগের জরিপ বর্হিভুত চরভরাট ৫০০.০০ একর জমি অকৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা-১৯৯৫ এর ১০ নং অনুচ্ছেদের আলোকে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এর অনুকূলে (বিনা সালামী/প্রতীকী মূল্যে) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এ কার্যালয়ের ১৭/১১/২০১৬ তারিখের ১৩৫২ নং স্মারক মুলে দীর্ঘমেয়াদী (অকৃষি) বন্দোবস্ত মামলা নং-০৪/২০১৬ (মহেশখালী) ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় Land Based LNG Terminalনির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী উপজেলায় ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ক্ষমতা সম্পন্ন একটিCustody Transfer Metering Station (CTMS) স্থাপনের লক্ষ্যে বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন কাজ চলমান আছে।মহেশখালী উপজেলার দক্ষিণে সোনাদিয়া এলাকায় অর্থাৎ পাইপ লাইন
স্থাপনের প্রবেশদ্বারে যুক্তরাষ্টেরExcelerate Energy Bangladesh Limited(EEBL) কর্তৃকBOOT পদ্ধতিতেLNG টার্মিনালের নির্মাণের নিমিত্তে ১৮জুলাই ২০১৬ EEBLএর সাথে BOOTভিত্তিতে মহেশখালী তে দৈনিক ৫০০ এমএমসিএফ ক্ষমতা সম্পন্ন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মার্চ ২০১৮ নাগাদ ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল হতে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। ডিসেম্বর’১৭ সাল নাগাদ মহেশখালীস্থ CTMSএর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্র বন্দরে পেট্রোবাংলা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এলএনজি টার্মিনাল তথা Floating Storage and Re-gasification Unit (FSRU)হতে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মহেশখালী-আনোয়ারা পাইপ লাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা সম্ভব হবে। EEBL, Bathymetry/Geophysical studyসম্পন্ন করেছে এবং তদানুযায়ী টার্মিনালের স্থায়ী অবকাঠামোর Technical Designএর জন্য বর্ণিত স্থানটি কারিগরীভাবে উপযোগী মর্মে পেট্রোবাংলাকে অবহিত করেছে। EEBLগত ২৪/১১/১৬ হতে Geotechnical studyশুরু করে এবং ১৪/১২/১৬ তারিখ Geotechnical Field Work সম্পন্ন হয়। বর্তমানে Design, Drawingএর কাজ এবং long lead item এর চুক্তি সম্পাদনের কাজ চলমান রয়েছে।
EEBLএর ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের চূড়ান্ত অবস্থান হলোঃ 377655.70 E, 2381761.00 N. উল্লেখিত অবস্থানে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করা হবে। এছাড়া সমুদ্রবক্ষে প্রায় ৭.৫ কিমি subseaপাইপ লাইন স্থাপন করা হবে।
মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইনঃ
১ |
প্রকল্পের নাম |
মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন। |
২ |
মন্ত্রণালয়ের নাম |
বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় (জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ |
৩ |
বাস্তাবয়নকারী সংস্থা |
বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)/গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল) |
৪ |
প্রকল্পের অবস্থান |
কক্সবাজার জেলাধীন মহেশখালী ও পেকুয়া উপজেলা এবং চট্টগ্রাম জেলাধীন বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলা |
৫ |
অর্থের উৎস |
জিওবি এবং জিটিসিএল-এর নিজস্ব অর্থয়ান |
৬ |
প্রাক্কলিত ব্যয় |
১০৩৯.৬৭ কোটি টাকা |
৭ |
প্রকল্পের মেয়াদ আরম্ভ |
জুলাই ২০১৪ |
৮ |
প্রকল্পের মেয়াদ সমাপ্তি |
ডিসেম্ভর ২০১৭ |
|
|
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস