কক্সবাজারবিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণ প্রকল্প
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কার্যক্রম সাবেক প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ০২ জুলাই, ২০১৫ তারিখে শুভ উদ্বোধন করেছিলেন।বিমানবন্দরের রানওয়ে ৬৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯০০০ ফুট এ উন্নীত করা হয়েছে। গত ৬ ই মে বংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বোয়িং ৭৩৭ বিমান যোগে কক্সবাজার আন্ত্ররজাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পটিরলক্ষ্যসমূহঃ
(ক) প্রকল্পের আওতায় রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট হতে ৯০০০ ফুটে বর্ধিতকরণ।
(খ) রানওয়ের চওড়া ১৫০ ফুট হতে ২০০ (শোল্ডারসহ) ফুটেবর্ধিতকরণ।
(গ) রানওয়ের শক্তিবৃদ্ধিকরণ।
(ঘ) এয়ারফিল্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপন।
(ঙ) ফায়ার ফাইটিং ভেহিকেল ক্রয়।
(চ) নব্যযোগাযোগ যন্ত্রপাতি যথা- আইএলএস, ডিভিও আর প্রভৃতি স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ।
অগ্রগতি: বর্তমানে রানওয়ে প্রশস্তকরণ, রানওয়ের দৈর্ঘ্য বর্ধিতকরণ, রানওয়ের সোল্ডার নির্মাণ কাজ ও ৩৫ প্রান্তে ওভার রানওয়ে Aggregate Base Courseএর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।বর্তমানে Asphalt Base/Binder Courseএর কাজ চলছে।এছাড়াও Airfield Ground Lighting System, Nav-Aidএবং রানওয়ে ১৭ প্রান্তে রক্ষাপ্রদ বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প-১ম পর্যায় (এলজিইডি অংশ) এর আওতায় সদর উপজেলাধীন বাঁকখালী নদীর উপর কস্তুরীঘাটে ৫৯৫মিঃ দীর্ঘ Pre-Stressed Box Girder Bridgeএবং সংযোগ সড়ক নির্মাণাধীন রয়েছে।নিমার্ণ কাজের জন্য মোট প্রকল্প ব্যয় থেকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।One stage Two Envelop Tendering Method (NCT)পদ্ধতিতে দরপত্র আহবানপূর্বক দরপত্র গ্রহণ করা হয়।দরপত্রের মূল্যায়ন প্রক্রিয়াধীন।ব্রীজের সংযোগ সড়কের ২৩.০২৬৬ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বোয়িং-৭৭৭ জাতীয় বিমান চলাচল করতে পারবে।রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য শহরসহ বর্হিবিশ্বের সাথে কক্সবাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে যা দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়েতে সুপরিসর ৭৩৭-৮০০ বোয়িং বিমান চলাচল:
১ |
প্রকল্পের নাম |
কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) |
২ |
প্রাক্কলিত ব্যয় |
টাকা ১১৯৩.৩২ কোটি (সংশোধিত) |
৩ |
তহবিলের উৎস |
ক) জিওবি: টাকা ৮০২.৬৬ কোটি খ) সিএএবি’র নিজস্ব তহবিলঃ টাকা ৩৯১.৬৬ কোটি |
৪ |
বাস্তবায়নকাল (সংশোধিত) |
অক্টোবর ২০০৯ - জুন ২০১৮ |
৫ |
ভূমি অধিগ্রহণ |
৩২১.৩৪ হেক্টর |
৬ |
ভূমি উন্নয়ন |
১৩,৫০,০০০ ঘনমিটার |
৭ |
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান |
হাল্লা কর্পোরেশন (কোরিয়া), মীর আকতার হোসেন লিঃ (বাংলাদেশ) এবং সিয়োকওয়াং লিঃ (কোরিয়া) জেভি |
৮ |
বিদ্যমান রানওয়ে, টেক্সিওয়ে, রানওয়ে বৃদ্ধিকরন, রানওয়ে প্রশস্তকরন, রানওয়ে শোল্ডার, ওভাররান নির্মাণ ইত্যাদি |
১.রানওয়ের দৈর্ঘ্য ২,০৬৫ মিটার (৬,৭৭৫ ফুট) হতে ২৭৪৩ মিটার (৯,০০০ফুট) এ বৃদ্ধিকরন।
২.রানওয়ের প্রস্থ ৩৮ মিটার (১২৫ ফুট) হতে ৪৫ মিটার (১৪৭ ফুট) এ বৃদ্ধিকরন।
৩.রানওয়ের উভয় পার্শ্বে ৭.৫০ মিটার (২৫ফুট) চওড়া প্রায় ৫,৮০০মিটার (১৯,০২৪ ফুট) সোল্ডার নির্মাণ।
৪. ৫০০ মিলি মিটার (প্রায় ২০ ইঞ্চি) পুরুত্বের এস্ফল্ট কনক্রীট দ্বারা রানওয়ের পিসিএন (Pavement Classification Number) ১৯ হতে ৯০ এ উন্নীত করন
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস