বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন অথরিটি কর্তৃক কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলাস্থ সাবরাং মৌজায় প্রায় ১১৬৪.৮৫২২ একর জমিতে ‘সাবরাং অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনের নিমিত্ত ভুমি মন্ত্রণালয়ের চুড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়া সম্পন্নপূর্বক বর্ণিত জমি ইতোমধ্যেই বেজা’র অনুকুলে হস্তান্তর করা হয়।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে।উপর্যুক্ত ১১৪৭ একর জমির মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর অনুকূলে ৮৮২.২৬ একর খাসজমিবন্দোবস্ত প্রদান এবং উক্ত কর্তৃপক্ষের বরাবরে খতিয়ান সৃজন করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২২.৬০ একর জমি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদনক্রমে রিজিউমপূর্বক ভূমি মন্ত্রণালয় হতে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই এ সংক্রান্তডিড সম্পাদন করা হবে। একই এলাকাভূক্ত ৬০.৫০ একর জমি সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের জন্য অধিগ্রহণ করে বেজার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে, যা গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
সড়ক বিভাগ কর্তৃক ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ২০১০.০০ লক্ষ টাকায় ৮.০০ কিমি দৈর্ঘ্যের সড়ক নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক টেকনাফ-১ উপকেন্দ্র হতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক অর্থনৈতিক অঞ্চল পর্যন্ত ১২.০২৯ কিমি ৩৩কেভি ডবল সার্কিট লাইনের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সকল খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে।সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে এলজিইডি কর্তৃক মোট ০৪.৬৩ কোটিটাকাব্যয়ে ৩টি সড়কের ৩.৬৯ কি.মি. সংযোগ সড়ক উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের ভাঙনরোধে অস্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৪.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দপ্রাপ্ত হয়েবেজার সভায় স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তদানুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য টেকনিক্যাল কমিটিকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
|
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস