কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলাধীন কাকারা ইউনিয়নের সনাতনী সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের আশ্রয়স্থল ১৮৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সনাতনী রুদ্র সম্প্রদায়ের আরাধনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু কাকারা রুদ্র পল্লী কালী মন্দিরটি ১৯৮৭ সালের প্রলয়ংকরী বন্যা এবং পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের প্রচন্ড ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে বিধ্বস্থ মন্দিরটি সরকারি কিংবা বে-সরকারি কোন আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পূজা-অর্চনা ও ধর্মীয় প্রার্থনা চালিয়ে আসছে সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম ধর্মীয় মন্দির হলেও এলাকায় বিত্তবান ও বৈদেশিক অর্থ উপার্জনকারী না থাকায় মন্দিরটি দীর্ঘদিন সংস্কার করা যায়নি। বর্তমানে স্থানীয় যুব সমাজের উদ্যোগে মন্দিরটি দ্বিতল বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে নির্মাণ ব্যয় ৫০/৬০ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের আর্থিক সহায়তায় মন্দিরটি নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এ মন্দিরটি একটি মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। স্বাধীন রাষ্ট্রের মূলনীতিতে সকল সম্প্রদায়ের ধর্মানুভূতি ও স্বাধীনভাবে ধর্ম অনুশীলনের ক্ষেত্রে মন্দিরটি অবদান রাখবে বলে আশা করি। মন্দিরটিতে দেশের অনেক জায়গা থেকে দর্শনার্থীর সমাগম হয়। বর্তমান সরকারের আদর্শিক দৃষ্টিকোণ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরটিতে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আদর্শবান ও নিষ্ঠাবান জেলার কর্ণধার হিসেবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরটি নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মন্দির উন্নয়ন কমিটি বিশ্বাস করে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS