Details
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন ইউনেস্কো স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশাল আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার শহীদ দৌলত ময়দানে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন মহোদয়। জেলা প্রশাসক মহোদয় সভাপতির বক্তব্যে বলেন, একাত্তরের ৭ মার্চ যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত হয়েছে। তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাই“এটা আমাদের জন্য বিশাল বড় অর্জন, জাতির জন্য। দলমত নির্বিশেষে সবার জন্যই অর্জন। এখানো কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই, এটা বাংলাদেশের অর্জন।”
প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কউক চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল ( অব: ) ফোরকান আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী. পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী,জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুলসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব ) কাজী মো: আবদুর রহমান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মোহাম্মদ মাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) মুহম্মদ আশরাফ হোসেন,সহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নোমান হোসেন, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট একেএম লুৎফর রহমান, জুয়েল আহমেদ,মো: সেলিম শেখ, ফারজানা রহমান, ফারজানা প্রিয়াংকা ও সাইয়েমা হাসান,সিভিল সার্জন ডা: আব্দুস সালাম জেলা তথ্য অফিসার মো: নাসির উদ্দিন,জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ,সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ,শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।